শিক্ষণীয় গল্প – ভালো কপাল মন্দ কপাল
অনেক দূরের এক চীনা গ্রামে এক বুড়ো কৃষক থাকতেন। তার খুব প্রিয় ছিল একটি চাষের ঘোড়া। একদিন হঠাৎ সেই ঘোড়াটি পালিয়ে গেল পাহাড়ের দিকে।
তার দুদর্শা দেখে গ্রামের সবাই এসে বলল, “হায় হায়, কত দুঃখের কথা, তোমার কপাল মন্দ, তোমার তো বড় ক্ষতি হলো।”
কিন্তু বুড়ো কৃষক শান্তভাবে বললেন, “কপাল ভালো না মন্দ, কেই বা জানে।”
এক সপ্তাহ পর, সেই ঘোড়াটি ফিরে এলো। সঙ্গে নিয়ে এলো আরও কয়েকটা বুনো ঘোড়া।
এবার সবাই বলল, “তোমার তো কপাল খুলে গেছে। কত ভালো ভাগ্য তোমার।”
বুড়ো কৃষক এবারও হাসলেন আর বললেন, “কপাল ভালো না মন্দ, কেই বা জানে।”
এরপর কৃষকের ছেলে এক বুনো ঘোড়াকে পোষ মানানোর চেষ্টা করল। কিন্তু ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে তার পা ভেঙে গেল।
সবার মুখে আবার দুঃখের সুর, “খুবই দুঃখের কথা, ছেলেটা তো এখন আর কাজ করতে পারবে না!”
কৃষক আবার বললেন, “কপাল ভালো না মন্দ, কেই বা জানে।”
কিছুদিন পর সেনারা গ্রামে এলো। তারা সব যুবক ছেলেদের যুদ্ধের জন্য নিয়ে গেল। শুধু কৃষকের পা ভাঙা ছেলেটিকেই রেখে গেল।
এবার সবাই বলল, “তোমার ছেলে রেহাই পেল, তোমার তো ভাগ্য ভালো।”
বুড়ো কৃষক তখনও শুধু বললেন, “কপাল ভালো না মন্দ, কেই বা জানে।”
শিক্ষা –
জীবনে যা ঘটে, সবসময় তা যেমন মনে হয়, তেমন নাও হতে পারে। তাই প্রতিটি ঘটনাকে ধৈর্য ধরে দেখতে হয়। কে জানে, আজকের দুঃখটাই কালকের সুখ হয়ে আসবে।