শিক্ষামূলক ছোট গল্প – মূর্খ যখন বিত্তবান হয়
একবার একটা ইঁদুর খাবার খুঁজতে গিয়ে রাজার ঘরে প্রবেশ করে। সেখানে কোন খাবার খুজে না পেয়ে একটা হীরার টুকরো সে গিলে ফেলে। হীরা চুরি যাওয়ার কারণে রাজ প্রাসাদে সবার ঘুম হারাম হয়ে যায়। রাজা মশাই জ্যোতিষীকে ডেকে পাঠান। জ্যোতিষী বলে হীরার টুকরো একটা ইদুরে খেয়ে ফেলেছে।
সেনাপতি রাজার হীরা উদ্ধারের জন্য রাজ্যময় পুরস্কার ঘোষণা করে দেন। একজন শিকারীকে খোঁজ করে ইঁদুর মেরে হীরা উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শিকারি যখন ইঁদুর মারতে ইঁদুরের বাসস্থানে পৌঁছোয় তখন সে সেখানে দেখে শত শত ইঁদুর একে অন্যের সংগে দলবেঁধে শুয়ে আছে, আর একটা ইঁদুর সবার থেকে আলাদা এক জায়গায় একটি ইটের ওপর রঙিন কাপড়ের বিছানা করে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে আছে। শিকারি তখন ওই ইঁদুরটাকে ধরে, আর তার পেট চিরে হীরার টুকরা বের করে নিয়ে আসে এবং রাজার হাতে সেটা তুলে দিলেন ।
রাজামশাই অনেক খুশি হয়ে শিকারীকে তার প্রাপ্য পুরস্কার দিয়ে দিলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন, “হাজারো ইঁদুরের মধ্যে তুমি কিভাবে বুঝলে যে, ওই ইঁদুরটাই হীরা চুরি করেছে..??”
শিকারি জবাবে বলে,
“খুবই সহজ হুজুর। মূর্খ যখন হঠাৎ বিত্তবান হয়ে যায়, তখন নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা মনে করে, নিজের জাতীর সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। মূর্খ ইঁদুরটা ঠিক তেমনি করেছিল। হীরা চুরি করে নিজেকে সবচেয়ে ধনী এবং ইঁদুরদের রাজা বলে ঘোষণা দিয়েছিল।”
( সমাপ্ত )
গল্পের শিক্ষা:
- অহংকার ও লোভের পরিণতি ভয়াবহ – যখন কেউ হঠাৎ ধনী বা ক্ষমতাশালী হয়ে যায়, তখন সে যদি অহংকারে মেতে ওঠে, তার পতন অনিবার্য।
- বুদ্ধিমত্তাই প্রকৃত শক্তি – শিকারি তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সত্য খুঁজে বের করেছে, যা প্রমাণ করে যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বড় সম্পদ।