হযরত সুলায়মান (আঃ)-এর হিকমতপূর্ণ বিচার
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, একদিন দু’জন মহিলা তাদের সাথে দু’টি সন্তানকে নিয়ে ছাগল চরাতে বের হল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে তাদের একজনের ছেলেকে নিয়ে গেল। সঙ্গের একজন মহিলা বলল,‘তোমার ছেলেটিকেই বাঘে নিয়ে গেছে’।
অন্য মহিলাটি বলল,‘না,বরং বাঘে তোমার ছেলেটি নিয়ে গেছে’। অতঃপর তারা উভয়ে এ বিষয়ে দাঊদ (আঃ) – এর নিকট সমাধানের জন্য বিচারপ্রার্থী হ’ল। সেখানে দুই মা এসে কাঁদতে কাঁদতে সব বললেন। তখন দাঊদ (আঃ) – দু’জনের কথা শুনে ছেলেটির বিষয়ে বয়ষ্কা মহিলাটির পক্ষে রায় দিলেন।
তারপর তারা উভয়ে বেরিয়ে দাঊদ (আঃ)-এর পুত্র সুলায়মান (আঃ)-এর নিকট গেলেন এবং তারা দু’জনে তাঁকে ব্যাপারটি জানালেন।
সুলাইমান (আ.) দয়ার চেয়ে বিচারের কৌশল নিয়ে ভাবলেন। তিনি বললেন, ভালো কথা, যদি দু’জনেই সমান দাবি করো, তাহলে একটা কাজ করি, একটা ছোরা আনো, আমি শিশুকে সমান অর্ধেক করে কেটে দু’জনকে ভাগ করে দিই।
এ কথা শুনে অল্প বয়ষ্কা মহিলাটি বলে উঠল,তা করবেন না, আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন। ছেলেটি তারই।
এই কথা শুনেই সুলাইমান (আ.) দাঁড়িয়ে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ, সত্যি মা তো তুমিই। যে নিজের সন্তানকে বাঁচাতে নিজের অধিকারের দাবিও ছেড়ে দেয়, তিনিই প্রকৃত মা। তখন অল্প বয়ষ্কা মহিলাটির পক্ষে রায় দিলেন।
(বুখারী হা/৩৪২৭ ‘নবীদের কাহিনী’ অধ্যায়, অনুচেছদ-৪০, মুসলিম হা/১৭২০, মিশকাত হা/৫৭১৯)।